আজকের আলোচনার বিষয় হচ্ছে চার দিন – একটি অসমাপ্ত গল্প 2022 . তো বন্ধুরা এই পোস্ট টি আপনারা জানতে পারবেন যে একজন শেখর নামের ব্যক্তি ছিল উদার মনের মানুষ । সে কখনো কারো ঋণ মাথায় রাখে না তার পরিষদ করে দেয় তা ওর নিজের জীবন দিয়ে হোক না কেন সেই অসমাপ্ত গল্পটির ছবি সহ দেখতে পারবেন ।
Table of Contents
অসমাপ্ত গল্প

ঘুমের সময় ছাড়া অন্য সময়ে শেখর এদের বাড়ির পরিবেশ টা কতটা শান্ত থাকে না । কিন্তু আজকের পরিবেশ টা একটু ভিন্ন রকম শেখর সামনে বসে আছে ওর মা-বাবা আর ওর ভাই সমর ও বসে আছে ।
শেখর তুইকি কিছু বলবি বাবা এভাবে ডেকে আনলে কেন কি হয়েছে রে?
হ্যাঁ বাবা । তোমাদের সবাইকে একটা কথা বলতে চাই আমি।
হ্যাঁ বল বাবা কি হয়েছে।
তারপরও সে কোন কিছু বলে না মাথা টা নিচু করে সবার সামনে বসে আছে।
কি দাদা কি হয়েছে তুমি কোন মেয়েকে পছন্দ করেছো ? একবার শুধু নামটা বলো তোমার হয়ে আমি লাইন ফিট করবো ।
তখন শেখর একটু হেসে ফেলে বলল-
বাবা মা আর সমর দেখ আমার হাতে বেশি সময় নেই আর মাত্র 4 দিন আছে । আমি এই চারদিন নিজের ইচ্ছেমতো কাটাতে চাই ।
এই কথা শোনার পর কিছুক্ষণের জন্য সবাই একেবারে চুপ হয়ে যায় । এইসব কি বলছে শেখর কেউ যেন কিছু বুঝতেই পারছেনা তার কথা ।
দাদা, তুই এসব কি বলছিস ? ( অসমাপ্ত গল্প )
তখন শেখর এর মা জিজ্ঞেস করল তোর কি কোনো সমস্যা হয়েছে বাবা ?
না মা । আমার কোন সমস্যা হয়নি ।
এই বলে ডাইরেক ঘুম থেকে উঠে সে নিজের রুমে চলে গেল অপরদিকে সেকরের মা-বাবা-ভাই-বোন রয়ে গেল একটা বিশাল ঘরের মধ্যে সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে দেখে শেখর ওর ঘরে পাওয়া যায় না । ওর মা একেবারে অনেক ভয় পেয়ে যায় ।
এই যে শেকরের বাবা শুনছো ।
কি হয়েছে ডাকছো কেন?
শেখর ওর নিজের ঘরে নাই?
যে ছেলে সকাল 11 টার আগে ঘুম থেকে উঠছো না তাকে আজ সকাল পাঁচটা বাজে ঘরে পাওয়া যাচ্ছে না কেন?
ওর কথাটা সত্য না তো ওই যে বলল ওর হাতে মাত্র চার দিন সময় আছে।
দেখো তুমি আজেবাজে চিন্তা করো না তো । ওর কিচ্ছু হবে না ?
এই বলে সে ঘরের মা কান্না করতে থাকে হাসপাতালে পৌঁছে গেছে শেখর তিন নাম্বার ফটো লে গিয়ে তার বন্ধু আপন কে দেখে পায়চারি করার অবস্থা এত সকালে তানভীরকে হাসপাতালে দেখে কিছুটা অবাকই হয় আপন কেননা আগেও অনেকবার ওর বাবার অসুখের কথা আর হাসপাতালে ভর্তির কথা বলেছিল ।
অন্য সব বন্ধুরা তার বাবাকে দেখতে আসলো শেখর কখনো আসেনি ও বলতো ওনাকে হাসপাতাল ভালো লাগে না হাসপাতলে আরেক নাম নাকি মৃত্যুপুরী ।
কিরে দোস্ত আরে তুই এখানে ॥
অসমাপ্ত গল্প ছবি
আরে ছোড়া তুই আমার কথা বাদ দে আগে বল আঙ্কেল কেমন আছে!
আব্বুর অবস্থা খুবই খারাপ মেয়ে দুটো কিডনি অকেজো হয়ে গেছে এখন ডোনার পাওয়া যায়নি ।
আমি তোর বাবাকে কিডনি দেবো ।
কি বললি তুই?
আমি বললাম যে আমি কিডনি দেবো কিন্তু তার আগে তো কিডনিটা ম্যাচ হবে কিনা দেখতে হবে চল ডাক্তারের সাথে কথা বলতে হবে।
তুই এইসব কি বলছিস রে?
দেখ,আমাদের হাতে সময় অনেক কম এখন এসব আজারা প্রশ্ন না করে কাজে লেগে পর ।
ডাক্তারি পরীক্ষার পর শেখর এর সাথে আপনার বাবার কিডনিটা ম্যাচ করে যাই দুজনে কেউ অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয় । অপারেশন শুরু হয়ে গেছে কিন্তু অপরদিকে শেখরের বাবা-মা কিছুই জানে না । কিন্তু এতক্ষণে তারাও খবর পেয়ে গেছে ।
তারাও হাসপাতালে চলে এসেছে ওর বাবা-মা সব সময় শেখর অন্যের উপকার করার শিক্ষা দিয়েছে কিন্তু নিজের জন্য অন্যকে দিয়ে নিজের সারা জীবন এক জটিলতার মধ্যে কাটাবে সেটা তারা মেনে নিতে পারছে না কিছুতেই ।
তখন শেখরের বাবা আপনর কাছে এসে বলে তানভীর কখন হাসপাতালে হয়েছে , ( অসমাপ্ত গল্প )
আঙ্কেল সকাল পাঁচটা নাগাদ এসেছে।
ওকে আগে থেকে বলে রেখেছিল যে ও কিডনি দেবে।
না আংকেল , আমি কিছুই জানতাম না আজ হঠাৎ করে বলল আমি ওকে নিষেধ করেছিলাম কিন্তু অনেক জোর জবস্তি করে আমার সাথে ।
পাশে রাখা বেঞ্চ তাই হতাট বসে পড়ে শেখর এর মা ।
তুমি ঠিক আছোতো শেখরের মা ।
এই সব কি হচ্ছে বলতো শেখরের জীবনে ।
ও বলেছিল এই চারদিন নিজের মতো করে কাটাতে চাই ওকে ওর মতোই কাটাতে দাও ।
তাহলে কি তুমি ওর চারদিনে বেঁচে থাকার বিষয়টি মেনে নিচ্ছ ।
তারপরে শেখর এর মায়ের এইসব কথার উত্তরে কিছু বলতে পারলো না শেকড়ের বাবা তখনই অপারেশন টা শেষ করল ডাক্তার অপারেশন থিয়েটার থেকে বের হলো ।
ডাক্তার বাবু আমার বাবা…!
Operation successful .. he is out of danger now…
আর আমার বন্ধু ?
তিনি অনেক সুস্থ আছেন তবে সারা জীবন ওকে এক নিয়মমাফিক লাইফ লিড করতে হবে ।
একথা শুনে ওর মা বাবা অনেক ভেঙে পড়ে শেখর সন্ধ্যার সময় বাসায় এসে পড়ে ।
- আরোও পড়ুন – প্রেমিকা যখন অন্যকারো বউ অসমাপ্ত ভালোবাসার গল্প 2021
- এক্স গার্লফ্রেন্ড যখন বস ভালোবাসার গল্প কাহিনী 2022
- এক বাস্তব জীবনের কষ্টের গল্প -বিয়ের পর কি ভালবাসা কমে যায় 2022
- Follow Facebook page – https://www.facebook.com/Chhota-golpo-109362014762389/
- Follow instagram – https://www.instagram.com/chhotagolpo/
- Follow linkedin page – https://www.linkedin.com/in/chhota-golpo-a568a6161
তুই এসব কি করলি বাবা? আর কেনই বা করলি ?
মা তোমার সেই দিনকার কথা মনে পরে একদিন আমি বড় ধরনের একটা একসিডেন্টের হাত থেকে বেঁচে ফিরেছিলাম ।
না বাসে অ্যাক্সিডেন্ট তুই বাসের সামনে চলে এসেছে ।
অসমাপ্ত ভালোবাসা গল্প

সেই এক্সিডেন্ট থেকে আপনার বাবা আমাকে বাঁচিয়ে ছিল তাই তার কিছুটা ঋণ শোধ করলাম আজকে আমাকে জীবীত দেখছো প্রাণ ভরে শ্বাস প্রশ্বাস নিচ্ছে একমাত্র তাঁরই জন্য ।
আমি তারিখ চাই কয়েকটা দিন বেশি বেঁচে আছি । আমাকে উচিত ছিল না আরো কয়েকটা দিন বেঁচে থাকার জন্য সাহায্য করা হয় ।
শেখর এর মুখে এইসব কি শুনছি যে কিনা অন্য কারোর ব্যাপারে খুব একটা ভাবেনা যে কিনা নিজের কিডনি দিয়ে আসলো আজ । ওইদিকে সময় চলে এসেছে ভাইয়াকে হাসিখুশি রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা করছে সে ।
ভাইয়া আমার মনে হয় দুটো কিডনি নিয়ে ঘুরে বেড়ানো কোন মানে হয়না । আমাদের সবার উচিত একটা করে কিডনি দান করা ।
সবাই যেতে দান ই করে তাহলে কখন টা করবে কে ।
অপরদিকে শেখর ফোন করলো- হ্যালো রুপা ।
শেখর তুমি এতদিন পর আমাকে ফোন করলে?
অনেক খুঁজে তোমার নাম্বারটা পেয়েছি তুমি কি আমার সাথে একটু দেখা করতে পারবে ।
কিন্তু আমার যে…
প্লিজ না বল না শুধু একটা মাত্র ঘন্টা ।
আচ্ছা ঠিক আছে কোথায় আসতে হবে সেটা বল।
একি তুমি চোখ মুখের একই অবস্থা করেছ শেখর ?
কেমন আছো রুপা তুমি?
আমি ভালো আছি তুমি কেমন আছো বলো ?
আমিও আছি আরকি ।
তোমার তো চেহারা দেখে বোঝা যাচ্ছে । তুমি কি আমাকে কিছু বলবে কলেজ তো খুব একটা কথা হতো না আমাদের । কাল যখন তুমি কল করলে কিছুটা! না কিছুটা না অনেকটাই অবাক হয়ে গেছিলাম ।( অসমাপ্ত গল্প )
ফ্লাটিং করছো আমার সাথে ।
না সত্যি বলছি ।
হয়েছে এখন বল কি বলবে ।
বলছি তবে শোনো।
হ্যাঁ আমিও শুনছি ।
দেখো আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি সেই কলেজ লাইফ থেকে ।
অসমাপ্ত আত্মজীবনী
মানে কি বলছো এসব ?
হ্যাঁ
কিন্তু তুমি তো জানো…
হ্যাঁ ভয় পেয়ো না আমি তোমাকে জবাব দিতে বলেছি বা পরকীয়া করতে বলছি না ।
তুমি…
মুখ থেকে আর কোন কথা বের হয় না রুপার ।
তোমার কখনো কথাটা বলা হয়নি আর যদি কথাটা অবাস্তব থেকে যেত মৃত্যুর পরে হয়তো আফসোস থেকে যেত আমার ।
…..
তোমার মেয়েটা অনেক সুন্দর হয়েছে ঠিক তোমার মতনই হয়েছে তাই না ।
হয়তো ।
রুপার করে তার এক বছর বয়সেই একটা মেয়ে ছিল ।
দাওতো আমার কাছে আর সরি তোমার মেয়েকে দেখতে আসতে পারেনি তাই ।
তুমি তো আমার বিয়ে তো আসোনি ।
কিছুক্ষণ পর রুপার মেয়েকে কিছুটা আদর করে সবার কাছে ফিরিয়ে দিয়ে বল ।
আমি আজ আসছি রুপা তুমি ভালো থেকো আর তোমার চারপাশটা কে ভাল রেখো । চলো তোমাকেএগিয়ে দিয়ে আসি ।
আমি একাই যেতে পারবো তুমি কি অন্য কোথাও যাবেন এখন ?
হ্যাঁ আমি একটু সাইনের বাড়ির দিকে যাব ।
আচ্ছা তবে তুমি যাও ।
তারপর দরজাটা খুলে কিছুটা অবাক হয়ে সাজন ।
শাহিনের সাথে সে করে সম্পর্কটা সবসময়ই কুমড়া টাইপের একটা । গুড বয় ব্যাড বয় এর মধ্যে যেমনটা থাকে । সায়ন এর নাম হারিয়ে গেছে বলতে গেলে এখন কেউ সায়ন বলে ডাকে না । সবাই ডাকে কানা বলে তাকে ?
কারণ সায়নের একটা চোখ নষ্ট আর এই চোখ নষ্টের কারণ তাই শেখর ।
ছোটবেলায় সায়ন আর শেখর এর মধ্যে প্রচন্ড ঝগড়া লাগে আর তখনই রাগের মাথায় কলম দিয়ে ওর বা চোখটা খোঁচা মেরে দেই ।
একসাথে অনেক বার আর অনেক জোরে খোঁচা মারে অনেক রক্তপাত হয় সেই স্কুল থেকে উঠে এর জন্য টিসি দিয়ে দেওয়া হয় সেই দিনের পর থেকে আর শেখর এর সাথে মাঝে মাঝে রাস্তায় দেখা হলেও কখনো কথা হয়নি তাদের ।
শেখর তুমি আমার বাড়িতে ?
তুমি আমায় ভিতরে আসতে বলবে না ।
হ্যাঁ আসো ।
ভিতরে গিয়ে সায়নের পা ধরে বসে শেখর ।
শেখর তুমি কি করছ ।
সায়ন আমি তোমার কাছে অনেক বড় অপরাধী আজ তোমার এই অবস্থার জন্য একমাত্র আমিই দায়ী । আমাকে তুমি ক্ষমা করে দাও ।
সায়ন শেখর কে দাঁড় করায় এরপর জড়িয়ে ধরে কান্না করে বলে ?
আজ থেকে আমরা আবার বন্ধু হলাম ।
এই করতে করতে প্রায় 12 বছর পর কথা হলো ওদের মধ্যে । সকালবেলায় শেখর দের বাড়িতে কান্নার রোল পড়ে যায় আজকে চার দিন শেষ হয়েছে আর শেখর এর কথাটাও সত্যি হয় শেখর এর হাতে মাত্র চার দিনে সময় ছিল ।
কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে শেখর এর মধ্যে আত্মহত্যা করার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি কিংবা কোনো অসুস্থতা ছিল না তাহলে শেখর জানলো কিভাবে ও চার দিন পর মারা যাবে তাও নিজের ঘরে ।
খবরটা পেয়ে সব বন্ধুরাই শেখর এর বাড়িতে আছে । সবাই কাঁদছে তার সাথে সায়ন এসেছে সবচাইতে বেশি হয়তো ওই কাঁদছে ।
শাওন ভাইয়া ।
সমীর সায়নের হাতে একটা চিঠি দেয় । সেই চিঠিতে সায়ন পড়তে শুরু করে ।
সায়ন তুমি কি জানো আমার দেখা সেরা ছবিগুলোর মধ্যে তোমার চোখ অন্যতম কিন্তু সেই চোখটাকে আমি নষ্ট করে দিয়েছি ।
আমার জন্য তোমার সায়ন নামে তোমার পরিবার ছাড়া অন্য কেউ ডাকে না আর সেই ভুলের প্রায়শ্চিত্ত চলো আমি আমার চোখ তোমাকে দান করে গেলাম ।
জানিনা তোমার ওই সুন্দর চোখ তার পাশে আমার চোখটা মানাবে কিনা তবে আমার চেয়ে সূর্য আবার সরব তুমি আমার এই উপহারটা গ্রহণ করো আমি সব ব্যবস্থা করে রেখেছি । ইতি শেখর ।
এই কিছুটা পড়ে আরো বেশি কাঁদতে শুরু করলেন এই কান্নাটা হয়তো ওর চোখ টা আরো বেশি সুন্দর করে তুলবে ।
গল্পটি একেবারে একটু অন্যরকমের ছিল জানিনা আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে তো আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে সেটি অবশ্যই কমেন্ট করে নিচে জানাবেন । দেখা হচ্ছে আবারো পরের নতুন কোনো গল্প নিয়ে সেই পর্যন্ত আমাদের ওয়েবসাইট থেকে ফলো করুন ।